পুলিশের সামনেই মামলার বাদীকে পিটিয়েছেন ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নানসহ তার বাহিনী। পুলিশের সামনে এ ঘটনা ঘটলেও ওই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। বুধবার দুপুর একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে থানার মুসলিম নগরের নয়া বাজার এলাকার শুক্কুর মিয়ার মুদি দোকানের সামনে।
এ ঘটনায় হামলার শিকার ডিস ব্যবসায়ী আওলাদ হোসেনের স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার ঝর্ণা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নানকে প্রধান আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আরো অভিযুক্ত করা হয়েছে— বিল্লাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, আহাম্মদ, মিন্টু, মো. সাগর ও জুয়েলসহ আরো অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে।
জানা গেছে, কিছু দিন আগে মুসলিম নগর এলাকার ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আউয়াল ও ছাত্রলীগ নেতা মান্নান বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে গত মাসের ২৯ তারিখ দুপুরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৮ থেকে ১০জন আহত হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই ফতুল্লা মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করে। পরবর্তীতে পুলিশ আওলাদের অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে রুজু করে।
এদিকে মামলা রুজুর পরও উভয়পক্ষের মধ্যে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়। বুধবার মামলার বাদী আওলাদকে যখন পেটানো হয় তখন ফতুল্লা থানার এসআই ইলিয়াস ঘটনাস্থলে থাকলেও তিনি ছিলেন নীরব দর্শক। এ ব্যাপারে এসআই ইলিয়াসের সঙ্গে কথা হলে তিনি উপস্থিত থাকার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, মামলার তদন্তের কাজে আমি ব্যস্ত ছিলাম। এ সময় অদূরে হৈ চৈ শুনতে পেয়ে এগিয়ে গিয়ে জানতে পারি মান্নান নামে কেউ একজন বাদী আওলাদকে মারধর করেছে। তিনি আরো বলেন, তদন্তকালীন সময় মান্নান আমার সামনে ছিলেন না। তাছাড়া এই মান্নানই যে আওলাদের মামলার আসামি তা আমি চিনতে পারিনি, যে কারণে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
ফতুল্লা মডেল থানার কর্মকর্তা মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুনেছি ছাত্রলীগ নেতা মান্নান মামলার বাদী আওলাদ হোসেনকে পিটিয়েছেন। তবে ঘটনার বিস্তারিত এখনো জানতে পারিনি।